বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নেট-দুনিয়ায় ট্রোলিং-এর নিশানায় সেলিব্রিটি থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ, এমনকি শিশুরাও এসে পড়ছে। তবে রাজনৈতিক ট্রোলিং বিশেষভাবে গভীর প্রভাব ফেলেছে। রাজনীতির এই ‘ট্রোলিং সেনা’কে কেন্দ্র করে প্রশ্ন উঠেছে, এই প্রবণতা কি বিশেষ কোনও মানসিকতার ফল? নাকি রাজনীতির ভাষা পরিবর্তনের চিত্র?
সম্প্রতি, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ কর্মসূচিকে ঘিরে তার পোশাক ও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে নানা ধরনের আক্রমণমূলক পোস্ট দেখা গিয়েছে। শুধু তিনি নন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারী, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়—প্রায় সবাইকে নিয়েই ট্রোলিং চলেছে। তৃণমূল, বিজেপি এবং সিপিএম, তিনটি দলই এখন নিজেদের ‘ট্রোল আর্মি’-র মাধ্যমে বিরোধীদের আক্রমণ করতে ব্যস্ত।
তৃণমূলের প্রধান মুখ কুণাল ঘোষ বলছেন, “বিজেপি এবং সিপিএম-এর ট্রোলিং সংস্কৃতি তৃণমূলকে বারবার নিশানা করছে।” অন্যদিকে বিজেপির সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যের মতে, “রাজনীতির মধ্যে রাজনীতিহীনতার জন্যই আজ ব্যক্তিগত আক্রমণ প্রধান অস্ত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে।” সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী একে ‘ইউজ় অ্যান্ড থ্রো’ মনোভাবের ফল বলে উল্লেখ করেছেন।
এই প্রবণতা রাজনীতির ভাষা ও সংস্কৃতিকে ক্রমেই ক্ষতিগ্রস্ত করছে। ব্যক্তিগত আক্রমণের পাশাপাশি এখন পরিবারকেও টেনে আনা হচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে, যা সমাজের জন্য গভীরভাবে বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। রাজনীতির এই বিষাক্ত পরিবেশ আমাদের সমাজের শালীনতা ও সভ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
Political trolling has intensified in India, with leaders from Congress, BJP, TMC, and CPM being targets. This trend raises concerns over the toxicity in political discourse, affecting societal norms and decency. Analysts suggest trolling is a result of “use and throw” mentality affecting political ethics and social balance.