বাংলা হান্ট ডেস্কঃ স্পাইনাল মাস্কুলার অ্যাট্রফি (এসএমএ) রোগের চিকিৎসার জন্য বিশেষ জিন থেরাপি বিনামূল্যে ভারতে শেষবারের মতো প্রয়োগ করা হয়েছে। ৩১ জুলাই থেকে এই থেরাপি বিনামূল্যে দেওয়া বন্ধ হয়েছে, তবে সেই সময়ের মধ্যে নাম নথিভুক্ত করা এক শিশু পূর্ব ভারতের শেষ রোগী হিসাবে এই থেরাপি পেয়েছে। সোমবার কলকাতার পিয়ারলেস হাসপাতালে ১৬ মাস বয়সী শিশুটির উপরে এই চিকিৎসা প্রয়োগ করা হয়েছে। বর্তমানে শিশুটি চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে রয়েছে।
এই থেরাপি প্রথম আবিষ্কার হওয়ার পর আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (FDA)-এর অনুমোদন পেলেও বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলো তখনও অনুমোদন দেয়নি। প্রস্তুতকারী সংস্থা গ্লোবাল ম্যানেজড অ্যাকসেস প্রোগ্রাম (জিএমএপি)-এর অধীনে ৩৬টি দেশে বিনামূল্যে থেরাপি দেওয়ার ব্যবস্থা করে। ভারতে এই থেরাপি কিনতে হলে আমদানি করতে হয়েছিল, তবে বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকার এই থেরাপির অনুমোদনের জন্য নথি জমা দিয়েছে।
শিশুটি পূর্ব মেদিনীপুরের একটি পিছিয়ে থাকা পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছে। মাত্র ছ’মাস বয়সে তার মা প্রথম লক্ষ্য করেন যে শিশুটি নিজের পা তুলতে পারছে না। স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে কলকাতার চিকিৎসা কেন্দ্রে পাঠানো হয়। সেখানে পরীক্ষার মাধ্যমে ধরা পড়ে, শিশুটি এসএমএ টাইপ ওয়ান রোগে আক্রান্ত। পরে পিয়ারলেস হাসপাতালে তাকে জিন থেরাপি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয় এবং সব শর্ত পূরণ করে অবশেষে এই চিকিৎসা পায়।
পিয়ারলেস হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সংযুক্তা দে জানিয়েছেন, পূর্ব ভারতে এখনও পর্যন্ত তিনটি শিশু এই থেরাপি পেয়েছে। দু’বছরের নিচের শিশুদের এই থেরাপির কার্যকারিতা বেশি, তাই দ্রুত আরও শিশুদের জন্য ক্রাউড ফান্ডিং-এর মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহের চেষ্টা চলছে।
The last free gene therapy for SMA was administered to a 16-month-old child in East India at Peerless Hospital. With regulatory approval still pending in India, efforts are underway to make this treatment accessible. Specialists emphasize the need for government support for affordable gene therapy in India.